জাবিতে ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে জিডি

প্রথম প্রকাশঃ মার্চ ১৭, ২০১৬ সময়ঃ ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ২:১৯ অপরাহ্ণ

তহিদুল ইসলাম (জাবি প্রতিনিধি)

indexজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক।

বুধবার বিকেলে সংবাদ প্রকাশের জেরে হুমকি দেওয়ায় আশুলিয়া থানায় পৃথক ঘটনায় আলাদা দুটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়। জিডি নং ১৩২১ (আবির) ও ১৩২০ (হিমেল)।

অভিযোগকারি দুই সাংবাদিক হলেন, দৈনিক মানবকন্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের ৪১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.সাইফ উদ্দিন আবির এবং বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর ডট কম এর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও ইতিহাস বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নুর আলম হিমেল।

অভিযোগের বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকার শেষ পাতায় ‘জাবিতে ছাত্রলীগের মিছিলে না যাওয়ায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর মানবেতর জীবন’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে প্রকাশিত ঐ সংবাদের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি রাজিব আহমেদ রাসেল ফোন করে প্রকাশিত সংবাদের জন্য আবিরকে ধমক দিয়ে ও ভয় প্রদর্শন করে এর কৈফিয়ত জানতে চান। এ সময় তিনি অশালীন শব্দ ব্যবহার করে নিউজের প্রমাণ করতে না পারলে ‘সহজে ছাড় দিব না’ বলে হুমকি দেন।

এদিকে, অন্য একটি অভিযোগের বিবরণী থেকে জানা যায়, গত ১২ই মার্চ শনিবার বাংলানিউজে ‘ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জাবি ছাত্রলীগের বাস ভাংচুর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ঐ সংবাদের জের ধরে রাজিব আহমেদ রাসেল নুর আলম হিমেলকে ফোন করে ধমকের সুরে সংশ্লিষ্ট সংবাদের কৈফয়ত জানতে চান। এ সময় তিনি নিউজের ঘটনার প্রমাণ না করতে পারলে ‘তোমার (হিমেলের) বিরুদ্ধে শুধু ব্যবস্থা নয়, আরো অনেক কিছুই করা হবে’ বলে হুমকি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাইফ উদ্দিন আবির বলেন, ‘আমি নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়েই জিডি করেছি।’ নূর আলম হিমেল বলেন, ‘তিনি যে রকম করেছেন সেটি আশা করা যায় না। আমি নিজের নিরাপত্তার কারণেই এটা করেছি।’

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মোর্শেদ আলী মোল্লা বলেন, ‘দুই সাংবাদিক থানায় এসে পৃথক ঘটনায় দুটি আলাদা জিডি করেছেন। তাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে এ বিষয়ে এক কর্মকর্তাকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদ রাসেলকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘আমি এ সম্পর্কে অবগত নই। আমার সঙ্গে তাদের কথা হয়নি।’

 

#লাইক ও শেয়ার দিয়ে প্রতিক্ষণের সাথে থাকুন।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G